ভুয়া বলে কবিরাজ হটাইছেন, ডাক্তার হটাইবেন কেমনে?


ভুয়া বলে কবিরাজ হটাইছেন,

তাইতো ডাক্তার এখন আপনার পকেট থেকে পয়সা হটাই নিচ্ছে।
কথা ও পরিকল্পনাতো এটাই ছিলো নাকি?
আজকাল একজন ডাক্তার যা কামায় আগে ৫০০ জন কবিরাজও তার সমান কামাই করতে পারতো না। আজ ডাক্তার পরীক্ষার নামে কত শত কমিশন খাচ্ছে তা আর কারো চোখে পড়ে না। চোখে পরে কবিরাজের ইনকাম।
খেয়াল করে দেখেছেন
# কবিরাজ কিন্তু মৃত মানুষ রুমে আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা কামায় না। ওটা ডাক্তার কামায়! নাম দিয়েছে আইসিইউ টাকার ডিব্বা।# এমন কোন নজির নেই যে, কাউকে জমি/জমা বিক্রি করে কবিরাজের ফি দিতে হয়েছে। ওটাও ডাক্তারের ফি দিতে অনেকেই করেছে।# কবিরাজরা ধর্মঘটের নামে রোগি জিম্মি করারও কোন নজির কিন্তু নেই। ওটা ডাক্তার করে। উচ্চ শিক্ষিত হলেও নজর কিন্তু কামলা শ্রেণির শ্রমিকদের মতই।

দুইটা বাস্তব ঘটনা বলি:
# কয়েক বছর আগে আমার একবার জন্ডিজ হয়েছিলো। তখন গ্রামের এক কবিরাজ আমাকে ঝাড়-ফুক দেয়। এতে মাত্র কয়েকদিনেই আমি জন্ডিজ থেকে রেহাই পেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাই।
# ঢাকা এসেও সেই একই জন্ডিজে আমার ছোট ভাই পড়ে। ডাক্তার দেখালাম। দিলো পরীক্ষা। সব মিলিয়ে টাকা খরচ হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। তারপরও ভাইটা সুস্থ হয়েছে বেশ কয়েকদিন পরে।
দুটো ঘটনা থেকে যা বোঝা গেলো, সুস্থ আমরা দুটো চিকিৎসাতেই হয়েছি। কিন্তু ফারাক শুধু চিকিৎসা ব্যয়ে। কবিরাজ তার ফি নিয়েছে ১০ আর ডাক্তার নিয়েছে ৫। থুক্কু কেউ নিয়েছে শুধু টাকা আর কেউ নিয়েছে হাজার টাকা, মানে ১০ টাকা আর ৫ হাজার টাকা।
আমাদের একটা বড় সমস্যা কি জানেন?
পয়সা ওয়ালা নতুন একটা বন্ধু পেলে পুরনো সেই গরিব বন্ধুটাকে সহজেই ভুলে যাই। নতুন একটা স্মার্ট ফোন পেলে পুরনো সেই বাটন ফোনটা ছুড়ে ফেলে দেই। কিন্তু মনে রাখি না যখন স্মার্ট ফোনটা নষ্ট হবে তখন দু’এক ঘণ্টার জন্য হলেও বাটন ফোনটা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয়। পয়সা ওয়ালা বন্ধুটা যখন ছুড়ে ফেলে দিবে তখন কিন্তু সেই গরিব বন্ধুটাই বলবে ‘চল দোস্ত আজ তোকে চাইনিজ খাওয়াবো। গলির মুখে একটা চাইনিজ দোকান বসেছে, ওখানের চাইনিজ খাবারের নাম দিয়েছে ৫ টাকার আলু পুড়ি হাহাহাহাহাহ’।

মন্তব্যসমূহ