এম সুজন আকনঃ সোনালীনিউজ, প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করেন। সোমবার বিকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়। এর পরেই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মেলা প্রাঙ্গন। আর মুহুর্তেই প্রাণের মেলায় উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে মুখোরিত হয়ে উঠে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের গৌরব। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মানুষ রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। বইমেলা গৌরবের ইতিহাসকেই প্রতিভাত করে। লেখক সাহিত্যিক ও পাঠকদের এক বিরল সুযোগ এনে দেয় এ মেলা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভাষা যখন বিদেশিদের মুখে শুনি তখন গর্বে প্রাণ ভরে যায়। তাই আমি সুদূর থেকে এখানে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
এ বছর মেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা ও ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
মেলায় সর্বমোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এবারে ১ ইউনিটের ১৯৮টি, ২ ইউনিটের ২৬৬টি, ৩ ইউনিটের ১১১টি স্টল এবং ৪ ইউনিটের ৭৬টি স্টল থাকছে। এ বছর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বমোট ৫৪০ ইউনিট বরাদ্দ থাকছে। আর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকছে ৮২ প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ১১১টি ইউনিট।
মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা একাডেমি গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে উদযাপন করে আসছে এই বইমেলা। যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এবার গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক বাংলা একাডেমির ৬০ বছরপূর্তি-হীরকজয়ন্তী যুক্ত হয়ে মেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুনতর মাত্রা।
এদিকে মেলার প্রথমদিন সোমবার দর্শকের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও অধিকাংশ স্টলই পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে উঠতে পারেনি অনেক প্রকাশনীর লোকেরা। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধিকাংশ স্টলেই চলছে সাজানোর কাজ।
স্টল সাজাতে ব্যস্ত অনেকে জনান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে তারা সকালে কাজ করতে পারেনি। তবে রাতের মধ্যেই সকল কাজ শেষ করতে পারবেন বলে জনান তারা।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন